সার ব্যবসায়ীর ওপর হামলায় ধর্মঘটের ডাক

চাঁদা না দেওয়ায় নাটোরের গুরুদাসপুরের সার ব্যবসায়ী আবদুল মজিদকে (৫৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন হাবিবুর রহমান (৪৫) নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) নাটোর জেলা শাখা আগামীকাল সোমবার জেলায় সার বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা না হলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সার বিক্রি ও গুদাম থেকে সার ওঠানো বন্ধ রাখা হবে। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএফএর নেতারা এই ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএফএর নাটোর জেলা সভাপতি আব্দুস সালাম লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ৭ মে রাতে চাঁদা না দেওয়ায় গুরুদাসপুরের সার ব্যবসায়ী আবদুল মজিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় নাটোরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও গতকাল বিকেল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী সোমবার জেলার সব ব্যবসায়ী সার বিক্রি বন্ধ রাখবেন। এর পরও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে ১৭ মে থেকে সাত দিন তাঁরা ধর্মঘট পালন করবেন। তাতেও সমাধান না হলে সার ব্যবসায়ীরা ২৭ মে থেকে গুদাম থেকে সার ওঠানো বন্ধ করে দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমানসহ জেলার সব সার ডিলার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হামলার ঘটনায় মজিদের ছোট ভাই আবদুল খালেক বাদী হয়ে হাবিবুরের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। আহত মজিদ শহরের চাঁচকৈড় বাজারে রাসায়নিক সারের (বিসিআইসি) ডিলার। আ্র হাবিবুর চাঁচকৈড় বাজারপাড়ার বাসিন্দা।
আহত মজিদ অভিযোগ করেন, হাবিবুর পৌর মেয়রের চাচাতো ভাই। এই দাপটে তাঁর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চাঁচকৈড় বাজারের গোকুল টেইলার্সের সামনে তাঁকে মারধর করেন হাবিবুর।