অধিকতর তদন্ত না হলে আন্দোলনের হুমকি

বগুড়ার শেরপুরে সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তী হত্যার নয় বছর পূর্ণ হলেও মামলার তদন্ত নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। মামলার অধিকতর তদন্তের দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার দীপংকর চক্রবর্তীর নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে শেরপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তারা এ হুমকি দেন।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালো ব্যাজ ধারণ, সকাল ১০টায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড চত্বরে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জানে আলম, স্বাধীন কুমার কুণ্ডু, খন্দকার মাহবুবার রহমান, পিয়ার হোসেন, সালমা ইসলাম, বেলাল হোসেন, নিমাই ঘোষ প্রমুখ।
দুপুরে বগুড়া শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন করে বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সভাপতি এ এইচ এম আখতারুজ্জামান। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিকান্দার ফয়েজ, লিমন বাশার, তৌহিদুর রহমান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, এ বি এম জিয়াউল হক প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীপংকর চক্রবর্তীর হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শুধু সময়ক্ষেপণ করেছেন। হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনে তাঁরা বিন্দুমাত্র অনুসন্ধান করেননি। এ কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে পর পর তিনবার মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন।
নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী অঞ্জনা চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, হত্যা মামলা করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বারবার তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন যে খুনিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এমন আশ্বাসের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২ অক্টোবর বগুড়া শহরের কর্মস্থল থেকে শেরপুর পৌর শহরের সান্যালপাড়ায় নিজ বাড়িতে ফেরার সময় দীপংকর চক্রবর্তীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।