দুর্ঘটনার কবলে প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক

রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। আজ শুক্রবার দুপুরে শান্তিনগরে স্কাই লাইন পরিবহনের একটি বাস তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িকে (ঢাকা মেট্রো খ ১৩-২৫১২) ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা শাহেদ মুহাম্মদ আলীর এক ভাতিজি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে প্রথমে কাকরাইলের একটি বেসরকারি হাসপাতাল; সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে লালমাটিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি মুখমণ্ডলে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তাঁর মুখে অস্ত্রোপোচার করা হয়েছে। গাড়িতে থাকা শাহেদের আট বছরের শিশুকন্যা ও সাড়ে তিন বছরের ছেলেও সামান্য আহত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তারা বাসায় ফেরে।
শাহেদ মুহাম্মদ আলী জানান, তাঁরা বেইলি রোড থেকে পল্টনের বাসায় ফিরছিলেন। পথে শান্তিনগরের মোড়ে কাকরাইলের দিক থেকে আসা একটি বাস হঠাৎ করে তাঁর গাড়ির পেছনের ডানপাশ দুমড়ে মুচড়ে দেয়। এরপর বাসটি কয়েকটি রিকশাকে আঘাত করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তা গাড়িতে করে তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে সহকর্মীদের সহায়তায় তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক লায়েকুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, তিনি ও আরেক পরিদর্শক কামরুল ইসলাম গাড়িতে করে আহতদের উদ্ধার করে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেন। দুর্ঘটনায় পরে লোকজন আহত কয়েকজন রিকশাচালককে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয় নামের এক পথচারী জানান, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি একটি প্রাইভেট কার ও কয়েকটি রিকশাকে আঘাত করে। পরে পথচারীরা বাসটি আটক করে। ঘটনাস্থলে কয়েকজন রিকশাচালক আহত হন। তিনি জানান, তিনি সাইদুল ইসলাম (৩০) নামে এক রিকশাওয়ালাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাইদুলের অবস্থা গুরুতর। রাজবাড়ীতে তাঁর বাড়ি। তিনি ঢাকায় রিকশা চালাতেন। আনোয়ার নামে তাঁর এক আত্মীয় জানান, পরিবারটি খুবই দরিদ্র। কীভাবে সাইদুল চিকিৎসা করবেন তাঁরা সেই দুশ্চিন্তায় আছেন।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হাবিব নামে বাস চালকের এক সহকারীকে আটক করা হয়েছে।