বৈষম্যহীন বেতনের দাবি বেসরকারি শিক্ষকদের

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ফলাফল ভালো। তবুও মর্যাদার দিক দিয়ে পিছিয়ে আছেন বেসরকারি শিক্ষকেরা। তাঁদের বেতনও কম। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ ৫ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০১৩।
বিশ্বব্যাপী শিক্ষক দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষকের জন্য আহ্বান’। প্রতিবছরের মতো এবারও দিবসটি পালন করছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ছয় কোটি শিক্ষক। দিনটি উপলক্ষে কুমিল্লা গণিত ক্লাব আজ শনিবার সকাল ১০টায় নগরের টাউন হলে জেলার ২০ গুণী শিক্ষককে সম্মাননা দেবে।
জানা গেছে, শিক্ষকদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেস্কো) উদ্যোগে প্যারিসে বেশ কিছু সুপারিশ গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সাল থেকে ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। শিক্ষকদের অভিযোগ, বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকেরা প্রতি মাসে চিকিৎসা ভাতা বাবদ ২৫০ টাকা ও বাড়ি ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন। তার ওপর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির পরিমাণও (ইনক্রিমেন্ট) কম। বেতন-ভাতার এমন করুণ চিত্রের পাশাপাশি রয়েছে মর্যাদা ক্ষুণ্নের বিষয়ও। প্রতি মাসে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন পাস হলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বলা হয়, শিক্ষকদের অমুক মাসের বেতন ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয়েছে। যা লজ্জাজনক ও দুঃখজনক।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের একটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়। তাও ১৯৯১ সালের নিয়মানুযায়ী। এসব কলেজের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আগের অভিজ্ঞতাও পর্যালোচনায় আনা হচ্ছে না। সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কাজ করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়ানো ও বেতনবৈষম্য দূর করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। কিন্তু কিছুতেই দাবি পূরণ হচ্ছে না।’