ছাত্রী উত্ত্যক্তের অভিযোগে কর্মী পেটাল ছাত্রলীগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে নিজেদের ছয় কর্মীকে মারধর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ। তবে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীদের দাবি, রাজিবকে সালাম না দেওয়ায় তাঁদের মারধর করা হয়। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদের সঙ্গে থাকা এক ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করে ছাত্রলীগ কর্মী ও বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র ফিরোজ মাহমুদ, এ এস এম শফি কামাল, জামিনুর রহমান, রাকিবুল হাসান, নিয়াজ মোর্শেদ ও আসাদুজ্জামান পলাশ। এ সময় রাজিব তাঁদের মারধর করেন। পরে সালাম বরকত হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও তাঁদের মারধর করেন।

এ প্রসঙ্গে রাজিবের দাবি, ‘ওই ছেলেরা আমার সঙ্গে থাকা এক ছাত্রীকে লক্ষ্য করে বাজে মন্তব্য করেছে। তাই ওদের শাসন করে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে সোপর্দ করেছি।’

তবে মারধরের শিকার ছাত্রদের একজন এ এস এম শফি কামাল দাবি করেন, ‘আমরা ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করিনি। তাঁকে (রাজিব) সালাম না দেওয়ায় তিনি আমাদের মারধর করেছেন।’

এই ঘটনায় আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ফিরোজকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনার জের ধরে রাত ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু হল ও সালাম বরকত হলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই হলের নেতা-কর্মীরা রড-পাইপ নিয়ে বের হয়। বঙ্গবন্ধু হলের নেতা-কর্মীরা হল সংলগ্ন বটতলার কয়েকটি খাবারের দোকান ভাঙচুর করেন। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর তপন কুমার সাহা বলেন, ‘এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করেÿব্যবস্থা নেওয়া হবে।’