চোখ ও হাত বেঁধে শিলংয়ে আনা হয়েছে: সালাহ উদ্দিন

বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিনকে বিচারাধীন মামলার আসামিদের ওয়ার্ড থেকে আজ সোমবার দুপুরে শিলং সিভিল হাসপাতালের মূল ভবনে সিটি স্ক্যান করতে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: প্রথম আলো
বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিনকে বিচারাধীন মামলার আসামিদের ওয়ার্ড থেকে আজ সোমবার দুপুরে শিলং সিভিল হাসপাতালের মূল ভবনে সিটি স্ক্যান করতে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, তিনি দেশে ফিরতে চান। স্বেচ্ছায় নয়, চোখ ও হাত বেঁধে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তাঁকে শিলংয়ে আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনকে বিচারাধীন মামলার আসামিদের ওয়ার্ড থেকে শিলং সিভিল হাসপাতালের মূল ভবনে সিটি স্ক্যান করতে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সালাহ উদ্দিন আহমদকে দুর্বল দেখায়। পুলিশ তাঁকে ধরে রেখেছিল। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির কারণে তাঁর দেশে ফেরার ব্যাপারে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সহযোগিতা করে সরকার ভালো কাজ করেনি।
সালাহ উদ্দিন সব ভুলে যাচ্ছেন!
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গলফ-লিংক এলাকায় যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন তিনি কোথায়। এ সময় তিনি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশের কাছে যান।
সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে কলকাতা থেকে বিমানে আসামের দিকে রওনা হয়েছেন। বিকেল চারটার দিকে তাঁর শিলংয়ে পৌঁছানোর কথা।

বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিনকে বিচারাধীন মামলার আসামিদের ওয়ার্ড থেকে আজ সোমবার দুপুরে শিলং সিভিল হাসপাতালের মূল ভবনে সিটি স্ক্যান করতে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: প্রথম আলো
বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিনকে বিচারাধীন মামলার আসামিদের ওয়ার্ড থেকে আজ সোমবার দুপুরে শিলং সিভিল হাসপাতালের মূল ভবনে সিটি স্ক্যান করতে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: প্রথম আলো


গত মঙ্গলবার থেকে শিলং সিভিল হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জি কে গোস্বামীর তত্ত্বাবধানে সালাহ উদ্দিন আহমদের চিকিৎসা চলছে। গতকাল শিলংয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ সাংবাদিকদের বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি কোনো কথা মনে রাখতে পারছেন না বলে আবদুল লতিফ জানান।
আবদুল লতিফের বক্তব্যের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে চিকিৎসক গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন স্বাভাবিকই আছেন। শনিবার হাসপাতালে তাঁকে দেখে মনে হয়নি যে তিনি কথা ভুলে যাচ্ছেন।
সাত দিন পেরিয়ে গেলেও অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে কবে আদালতে নেওয়া হচ্ছে, কেউ তা নিশ্চিত করে বলছেন না। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকের ছাড়পত্র পাওয়া গেলে আজ তাঁকে আদালতে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সোমবার ভোরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় স্থানীয় লোকজনের ফোন পেয়ে পুলিশ সালাহ উদ্দিন আহমদকে গ্রেপ্তার করে বলে জানানো হয়। শিলংয়ে তিনি কীভাবে পৌঁছালেন, গত সপ্তাহেও সে রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি।