চার মন্ত্রীকে আবারও ন্যাম ভবন ছাড়ার তাগিদ

নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফকে আবারও সংসদ সদস্য ভবন (ন্যাম ভবন) ছাড়ার তাগিদ দিয়েছে জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে চার মন্ত্রীকে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে গতকাল সংসদ কমিটির সভাপতি ও চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘চার মন্ত্রীকে আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছিল, আবারও দিতে বলেছি। সবারই কিছু না-কিছু সমস্যা আছে। কারও বাসায় এখনো মালপত্র আছে। কারও পরিবারের সদস্য বেশি। একান্তই যদি সমস্যায় থাকেন, সে ক্ষেত্রে তাঁরা স্পিকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে ন্যাম ভবনে থাকতে পারেন।’

গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া সাংসদদের ন্যাম ভবন বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ কমিটি। সে অনুযায়ী বর্তমান সরকারের সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে (নবম সংসদে বরাদ্দ পাওয়া) ভবন ছেড়ে দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়। একই মাসে অনুষ্ঠিত সংসদ কমিটির পরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের কেউ ন্যাম ভবনে থাকতে চাইলে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বাড়িভাড়া ও সার্ভিস চার্জ ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংসদ সচিবালয়ে জমা দিতে হবে। এই নিয়ম মেনে বর্তমানে ন্যাম ভবনে বাস করছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম।

সংসদ সচিবালয়ের নথি থেকে জানা গেছে, হাসানুল হক ইনুর নামে নাখালপাড়া ১ নম্বর ভবনের ১০৪ নম্বর ফ্ল্যাট, ছায়েদুল হকের নামে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ৪ নম্বর ভবনের ১০২ নম্বর ফ্ল্যাট, শামসুর রহমান শরীফের নামে ৪ নম্বর ভবনের ৪০৩ নম্বর ফ্ল্যাট এবং শাজাহান খানের নামে ৪ নম্বর ভবনের ৪০৪ নম্বর ফ্ল্যাট বরাদ্দ আছে।

বৈঠকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ছয়টি ও নাখালপাড়ার চারটি ভবন এলাকায় পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে সাংসদদের সচেতন করার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিফ হুইপ বলেন, ড্রাইভার বা বাসার কাজের লোক ভবনের আশপাশে ময়লা ফেলে রাখেন। এসব বিষয়ে সাংসদদের সচেতন হতে হবে, যাতে তাঁরা অন্যদের বুঝিয়ে বলতে পারেন।

সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, বৈঠকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ছয়টি সদস্য ভবনে বসবাসরত সদস্যদের শব্দদূষণ থেকে রক্ষা করতে ভবনগুলোতে ‘শব্দ নিয়ন্ত্রক’ ব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে।

আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুস শহীদ, মাহবুব আরা বেগম, পঞ্চানন বিশ্বাস, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আসলামুল হক ও নাজমুল হক প্রধান অংশ নেন।