২০০ অভিবাসীর অসম্পূর্ণ তালিকা দিল মিয়ানমার

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) অসম্পূর্ণ তালিকা দেওয়ায় সাগরে উদ্ধার হওয়া ২০০ অভিবাসীকে গতকাল রোববার যাচাই-বাছাই করতে যায়নি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতিনিধিদল। এসব ব্যক্তির সম্পূর্ণ পরিচয় উল্লেখ করে তালিকা পাঠাতে বিজিপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ওই ২০০ অভিবাসীকে বাংলাদেশের নাগরিক দাবি করে তাঁদের তালিকা বিজিবির কাছে পাঠায় মিয়ানমার। তালিকায় ২০০ জনের নামসহ জেলার কথা উল্লেখ করা হলেও তা অসম্পূর্ণ। দেখা গেছে, ৪৮ জনের জেলা হিসেবে এমন জায়গার কথা বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। তা ছাড়া, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যক্তির নামের শুধু একটি অংশ উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য গতকাল কর্নেল মো. খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে বিজিবির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের মিয়ানমার যাওয়ার কথা ছিল। সকাল নয়টায় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছান। টেকনাফ থেকে যোগাযোগ করা হলে বিজিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই ২০০ জনকে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে হবে। এরপর প্রতিনিধিদলকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু প্রায় সাত ঘণ্টা পরও বিজিপির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।
জানতে চাইলে কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার হওয়া লোকজনের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তালিকাটি অসম্পূর্ণ। পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত নেওয়া সম্ভব নয়। তাই উদ্ধার হওয়া লোকজনের সম্পূর্ণ তালিকা পাঠাতে বিজিপির কমান্ডিং দপ্তরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।