শিক্ষক কারাগারে, নতুন পরীক্ষা কমিটি গঠন

নতুন কৌশলে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রাজধানীর বি এ এফ শাহীন কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষা কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই কলেজের অধ্যক্ষকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অধ্যক্ষ) ও পরীক্ষা কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বোর্ডকে জানানোর জন্য ওই কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ। আজ সোমবার এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে শ্রীকান্ত কুমার চন্দ চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের অপরাধের বিষয়ে তাঁরা কোনো ছাড় দেবেন না।

আর ঢাকা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যক্ষকে বাদ দিয়ে আজ বিকেলে আরেকজন শিক্ষকের নেতৃত্বে নতুন পরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে ওই ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়া বি এ এফ শাহীন কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুজ্জামানকে আদালতের মাধ্যমে আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম। তাঁর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করেছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

আগে পরীক্ষার দু-এক দিন আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো। এখন নতুন কৌশল হিসেবে একশ্রেণির অসাধু শিক্ষক পরীক্ষা শুরুর এক-দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্রের সিলগালা প্যাকেট খুলে তা বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এই রকম দুটি ঘটনা হাতেনাতে ধরেছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে গত রোববার বি এ এফ শাহীন কলেজ কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিজে গিয়ে দেখতে পান, এখানে নির্ধারিত সময়ের আগেই রসায়ন দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা ও প্যাকেটের একটি প্রশ্ন কম। নতুন কৌশলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিয়ে আজ প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।