প্রক্টর, ডেপুটি কন্ট্রোলার ও ছাত্র উপদেষ্টা অবরুদ্ধ

পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকাল সোমবার বিকেলে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি পক্ষ প্রক্টর, ডেপুটি কন্ট্রোলার ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত তাঁরা অবরুদ্ধ ছিলেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হলেও ডেপুটি কন্ট্রোলার, প্রক্টর ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা তাঁদের অন্যায়ভাবে অনুপস্থিত করানোর সিদ্ধান্ত দেন। এতে পরীক্ষা নিতে আসা শিক্ষকেরা অপমানিত হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেহেতু পরীক্ষা স্থগিত করেনি, সে কারণে একজন পরীক্ষার্থী হলে উপস্থিত থাকলেও পরীক্ষা নেওয়ার কথা। অথচ কর্তৃপক্ষ সেই পরীক্ষা না নিয়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এ কারণে সাধারণ শিক্ষকেরা তাঁদের ওপর ক্ষুব্ধ হন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডেপুটি কন্ট্রোলার সোহরাব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবি অযৌক্তিক। অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, আমি তাই করেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান বলেন, ‘কোনো অনিয়ম করা হয়নি। ছাত্রদের কাছে বারবার পরীক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করার পরও তারা পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় সবাইকে অনুপস্থিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার বেলা আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের আটটি বিভাগের প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ছিল। এর আগে রোববার দুপুরে শিক্ষার্থীরা হরতালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতার অজুহাতে পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান। কিন্তু শিক্ষকেরা তাঁদের দাবি মেনে নেননি। ফলে এদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈঠক ও বিক্ষোভ মিছিল করে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অধিকাংশ শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হননি। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী উপস্থিত হলে শিক্ষকেরা পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন এবং ডেপুটি কন্ট্রোলারের কাছে প্রশ্নপত্র চান। অধিকাংশ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় তিনি, প্রক্টর ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রশ্নপত্র না দিয়ে সব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখাতে বলেন। এতে শিক্ষকেরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।