কাস্টমস হাউসগুলোর দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

কাস্টম হাউসগুলোতে শুল্ক ফাঁকি, শুল্ক নির্ধারণ ও অন্যান্য দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত দুই অর্থবছরে এ খাতের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক টিমকে নির্দেশ দিয়েছে দুদক।

আজ সোমবার দুদকের একটি সূত্র প্রথম আলোকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, কমলাপুর আইসিডি এবং ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে গত ২০১২-২০১৩ ও ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে শুল্ক ফাঁকি, শুল্ক নির্ধারণ ও অন্যান্য দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ সংক্রান্তও দুদকের তিন সদস্যের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের প্রধান দুদকের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম।
এ টিম ছাড়াও দুদকের আরও ১১টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সেবা খাতের দুর্নীতি উদ্‌ঘাটন ও প্রতিরোধে কাজ করছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, কাস্টম হাউসগুলোর ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে এর আগে ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিম কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে ওই প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিষয়ে তেমন কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
জানা গেছে, কাস্টম হাউসগুলোতে শুল্ক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পণ্যের তথ্য গোপন করে বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ সব কাজের জন্য গড়ে ওঠা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছে কাস্টমস হাউসগুলো জিম্মি বলে তথ্য রয়েছে দুদকের কাছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই কাস্টম হাউসগুলোতে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হবে। এরপর সেসব পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।