রাজধানীতে শিবিরের মিছিল-ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৭

রাজধানীর মহাখালী ও কমলাপুর এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে মিছিল বের করে ছাত্রশিবির। তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। গাড়ি ভাঙচুর করে। দুই জায়গা থেকে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মহাখালী এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মহাখালীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের একটি গলি থেকে শিবিরের কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। প্রধান সড়কে এসে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান তাঁরা। এ ছাড়া কয়েকটি গাড়ির কাচও ভাঙচুর করেন শিবিরের কর্মীরা। পুলিশ ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আনিসুর ও শাহ পরান নামে শিবিরের দুই কর্মী-সমর্থককে আটক করে পুলিশ। তাঁদের বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার লুত্ফুল কবীর জানিয়েছেন, আটক দুজন ছাত্রশিবিরের কর্মী-সমর্থক। তাঁদের মুঠোফোনে থাকা খুদেবার্তায় নাশকতার নির্দেশনামূলক বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।

মতিঝিল এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সূত্র জানায়, কমলাপুরের খলিল পোশাক কারখানার সামনে থেকে আজ সকাল নয়টার দিকে ব্যানার হাতে নিয়ে একটি মিছিল বের করেন শিবিরের কর্মীরা। ওই এলাকায় আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল ছোড়া হয়। তারা কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশের ধাওয়ায় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। আটক পাঁচজন হলেন আবদুল্লাহ মো. সিফাত (২১), শোয়েব আহমেদ (১৮), বোরহান উদ্দিন (২০), ইলিয়াস (১৯) ও মুশফিকুর রহমান (২২)। তাঁদেরকে প্রথমে  মতিঝিল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মেহেদী হাসান জানান, আটক হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক পাঁচজনের প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাঁদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।