উত্ত্যক্ত করায় ছাত্রীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ

দুই তরুণের উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এক ছাত্রী (১২)। সে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই জানান, ওই ছাত্রীর নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি ছাত্রীর বাবা দুই তরুণের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
ছাত্রীর বাবা বলেন, থানায় অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। এখন হয়রানির মাত্রা আরও বেড়েছে। রাতে ঘরের চালে ইটাপাটকেল ও ঢিল ছুড়ছে। পাশাপাশি তারা থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
গত সোমবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোমিন ওই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি উত্থাপন করলে স্থানীয় সাংসদ আবদুল মজিদ খান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনির উদ্দিন বলেন, স্থানীয় সাংসদ ও সভা থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখা দরকার।
বানিয়াচং থানার ওসি সামছুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তবে তা এখনো মামলা হিসেবে নেওয়া হয়নি। বিষয়টি ভালো করে তদন্ত করা প্রয়োজন।
বানিয়াচং থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ওই শিক্ষার্থীর পরিবার ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবা পেশায় রিকশাচালক। জীবিকার তাগিদে তিনি কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে বানিয়াচং উপজেলায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। উপজেলার সাগরদীঘির দক্ষিণপাড়ের কাচা মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২০) ও তাঁর বন্ধু একই এলাকার মশু মিয়া ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ওই দুই তরুণ বাড়ির উঠানে ছাত্রীকে একা পেয়ে হাত ধরে টানাহেঁচড়া করেন। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যান।