সেই শিক্ষককে বদলির দাবি

তুচ্ছ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগে বরগুনা সদর উপজেলার দক্ষিণ লাকুরতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার নাথের বদলির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা গতকাল রোববার বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় ওই কর্মসূচি পালন করেন।
সকালে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে তাঁরা বরগুনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন।
কয়েকজন অভিভাবক জানান, ২০ মে বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির সময় শিক্ষার্থীরা ফুটবল খেলে। পঞ্চম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন ও সাগর ব্যাপারী খেলা শেষে বিদ্যালয়ের বারান্দায় রাখা ছবির বোর্ডের নিচে বল রাখতে যায়। তখন তাদের গায়ে লেগে বোর্ডটি নিচে পড়ে যায়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার নাথ দুই শিক্ষার্থীকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে নেন এবং বেধড়ক পেটান। পরে প্রধান শিক্ষক পেটানোর কথা কাউকে না বলতে তাদের হুমকি দেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মারুফের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে পেটানোর পর প্রধান শিক্ষকের বিচার চেয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এর আগে দিলীপ কুমার বরগুনা সদর উপজেলার ছোট লবণগোলা-হাজারবিঘা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ৪ মার্চ দুপুরে তাঁর মোটরসাইকেলের সংকেতবাতি ভেঙে ফেলার অপরাধে পাশের হাজারবিঘা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির চার শিক্ষার্থীকে তিনি বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে দুই শিক্ষার্থীকে শৌচাগারে আটকে রাখেন। এ নিয়ে বরগুনা থানায় মামলা হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার নাথ প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা যায়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সত্যতা পেলে প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার নাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।