তেঁতুলিয়ায় ইউপি কার্যালয় থেকে ভিজিএফের ১৩ বস্তা চাল উদ্ধার

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ভিজিএফ কার্ডধারীদের চাল বিতরণ শেষে সন্ধ্যায় দুই বস্তা চাল অন্যত্র সরানোর সময় স্থানীয় লোকজন চালগুলো জব্দ করে।
এর পরই ক্ষুব্ধ জনতা ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশে খবর দেয়। ইউএনও এবং তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি কার্যালয়ের গুদাম থেকে আরও ১১ বস্তা চাল উদ্ধার করে। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য আলেয়াকে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ইউনিয়নের অনেক গরিব ও দুঃস্থ মানুষকে ভিজিএফ কার্ড না দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কয়েকজন ইউপি সদস্যকে নিয়ে ভুয়া নামের তালিকা তৈরি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান, চাল বিতরণ আসরের নামাজের আগেই শেষ হয়ে যায়। বিতরণ শেষে ১৩ বস্তা চাল থেকে যায়। মূলত ভুয়া নামের এসব চাল কয়েকজন ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান ভাগাভাগি করে নিতেন। জনগণের চাপে এখন তাঁরা বলছেন, ৮০ জনের বিতরণ বাকি আছে।
চাল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে শালবাহান ইউপির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান দাবি করেন, ৮০ জনের চাল বিতরণ বাকি ছিল।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোজ কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।