ইউএনও-ইউপি চেয়ারম্যান দ্বন্দ্বে উন্নয়নকাজ ব্যাহত

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের দ্বন্দ্বে উপজেলায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। তিন মাস ধরে ওই উপজেলার সাত ইউপি চেয়ারম্যানসহ তাঁদের সমর্থকেরা ইউএনও অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
এলাকাবাসী ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইউএনও সুব্রত পালের অপসারণ দাবিতে তিন মাস ধরে ইউপি চেয়ারম্যানরা আন্দোলন করছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ইউএনওর অপসারণের দাবিতে সার্কিট হাউসের সামনে থেকে সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ঝাড়ুমিছিল বের করেন। মিছিলটি ইউএনও কার্যালয় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন লতিফাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, মারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন, বিন্নাটি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, মহিনন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হুদা, চৌদ্দশত ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল করিম, রশিদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন এবং বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদির। তাঁরা ২০ অক্টোবরের মধ্যে ইউএনওর অপসারণ দাবি করেন। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
এলাকার অনেকে জানান, ইউএনওর প্রত্যাহারের আন্দোলনের কারণে উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প টিআর, কাবিখা, কাবিটা বরাদ্দসহ কোনো কাজে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সহযোগিতা করছেন না।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, অব্যাহত আন্দোলনের কারণে প্রকৌশল বিভাগ, শিক্ষা বিভাগসহ উপজেলার ২০টি বিভাগের স্বাভাবিক কর্ম চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বলেন, ইউএনওর কর্মকাণ্ডের জন্য উপজেলা পরিষদ মাসের পর মাস অকার্যকর হয়ে রয়েছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা ইউএনওর অদক্ষতা প্রমাণ করে।
তবে ইউএনও সুব্রত পাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে ওই চেয়ারম্যানরা অযথা আন্দোলন করছেন।’