নয় চিকিৎসকের মধ্যে আছেন দুজন

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের নয়টি পদ থাকলেও চিকিৎসক আছেন দুজন। এই হাসপাতালের পাঁচজন চিকিৎসক প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত আছেন। দুজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন থেকে অনুমোদন ছাড়া হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে প্রতিদিন শত শত রোগী ফিরে যাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার ভাওয়াল ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে এবং চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন রহমান একই বছরের ১৬ মার্চ থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এ ছাড়া চিকিৎসা কর্মকর্তা মুরতুজা আল মাহমুদ ২০১১ সালের ৫ আগস্ট থেকে প্রেষণে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে, শাহ আলম ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে, সুরঞ্জিত দাশ ২০১২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেষণে কর্মরত। একই হাসপাতালে কর্মরত আছেন আবদুল হাদি খান। নাজমুল আলম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত।
গত বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীদের প্রচণ্ড ভিড়। দুজন চিকিৎসক চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। অনেক রোগী সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। প্রশান্ত কুমার ভাওয়াল মুঠোফোনে বলেন, ‘এ বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত জবাব দিয়েছি।’ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘চিকিৎসক-সংকটের বিষয়টি জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে অনেক চিঠি দেওয়া হয়েছে।’