বিএনপির রাজনীতির তিনটি স্টেজ: বি চৌধুরী

এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ফাইল: ছবি
এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ফাইল: ছবি

বিএনপির রাজনীতির তিনটি স্টেজ বলে মন্তব্য করেছেন বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে জিয়াউর রহমানের বিএনপি। তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এখন বিএনপিতে জিয়ার রাজনীতি নেই। তারপর খালেদার রাজনীতি। এ নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। বর্তমানে চলছে জামায়াতনির্ভর খালেদার রাজনীতি। দেশে বিদেশে যে চাপ তাতে এ রাজনীতি টিকবে বলে মনে হয় না। চতুর্থ স্টেজে বিএনপিকে আবার জিয়ার বিএনপিতে ফিরে যেতে হবে।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ শুক্রবার সকালে সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সাংসদ একেএম মাঈদুল ইসলামের লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বদরুদ্দোজা চৌধুরী এসব কথা বলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় কী চুক্তি হয়েছে তার কিছুই দেশের মানুষ জানে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাঁর আগমনে সরকার-এমনকি বিরোধী দল শুদ্ধ জয়ধ্বনি করল। তিনি ২২টি চুক্তি করে গেলেন, তার কিছুই আমরা এখনো জানি না। এগুলো জানতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে।’
বি চৌধুরী বলেন, ‘চুক্তি মানে উইন উইন সিচুয়েশন। কেউ ঠকবে না। ২২টি চুক্তিতে কি তাই হয়েছে? মনে হয় না। সীমান্ত চুক্তি করেছেন। ৪৭ হাজার মানুষের সমস্যার সমাধান হয়েছে। সে জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু তিস্তার পাড়ের দুই কোটি মানুষ তো কাঁদছে। তাদের সংসার চলছে না।’

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে বি. চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে মোদি হিন্দিতে বক্তৃতা দিলেন। তিনি কী করে জানলেন আমরা হিন্দুস্তানি? এর সমাধান হলো ভবিষ্যতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে যাবেন, সেখানে তিনি বাংলায় বক্তৃতা করবেন এবং তাঁর বক্তৃতার জন্য দুজন অনুবাদক রাখবেন।

বইয়ের লেখক একেএম মাঈদুল ইসলাম একসময় জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এরপর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের দলে যোগ দিয়ে মাঝখানে বিএনপিতে আসেন। এর পর আবার জাতীয় পার্টির মনোনয়নে সাংসদ হন। এর উল্লেখ করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি ছেড়ে আপনি বারবার কেন এরশাদের কাছে ফিরে গেলেন, তার ব্যাখ্যা থাকলে আমরা উপকৃত হতে পারতাম। অবশ্য আপনি বিএনপিতে নেই, আমি নেই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।