রমজানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: আইজিপি

এ কে এম শহীদুল হক
এ কে এম শহীদুল হক

আসন্ন রমজান ও ঈদ উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। আজ সোমবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়কে, রাস্তাঘাট, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালসহ কোথাও কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চাঁদাবাজরা যত শক্তিশালী হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যানবাহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার ও মামলা করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। শহীদুল হক আরও বলেন, পরিবহন মালিক, লঞ্চ মালিক, সিটি করপোরেশন, দোকান মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যানচলাচল, যানজট ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
যানজট নিরসনের লক্ষ্যে এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতে যাতে কোনো ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সে জন্য পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে মহাসড়কে যানবাহন না দাঁড়ানো ও যেখানে সেখানে পার্কিং না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধ এবং যানজট নিরসনে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশও বিশেষ তৎপর থাকবে বলে আইজিপি উল্লেখ করেন। ট্রেন, বাস ও লঞ্চে নিরাপদ চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা, অজ্ঞান পার্টি ও জাল টাকার অপব্যবহার রোধ করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান আইজিপি।

আইজিপি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বড় বড় শহরে বিপণিবিতান ও শপিংমল যথাসম্ভব সিসিটিভির আওতায় এনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। জনসাধারণের কেনাকাটার সুবিধার্থে এবং তারাবির নামাজের সময় অপরাধমূলক তৎপরতা প্রতিরোধে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যাপ্ত নৈশ টহলের ব্যবস্থা করা হবে। রাজধানীর মার্কেটগুলোর সামনে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যেসব মার্কেটে সিসিটিভি নেই সেখানে তা স্থাপনের জন্য বাজার কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংকের ভেতরে-বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হয়েছে। ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশ জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। আর্থিক লেনদেন ও পরিবহনের সময় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাইলে পুলিশ প্রহরা দেওয়া হবে।
আইজিপি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে পুলিশ, মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিউনিটি পুলিশের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।