মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আটটি ধারা কেন বেআইনি নয়

২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালার আটটি ধারা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ রুল দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ১০ জুন এ আবেদন করেন। গতকাল আবেদনের পক্ষে ইউনুছ আলী নিজে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
ইউনুছ আলী প্রথম আলোকে বলেন, রুলের পাশাপাশি নীতিমালার আটটি ধারার (২.১, ৩.১, ৩.২, ৩.৩, ৪.২, ৫.৩, ৯.১ ও ৯.৩) কার্যকারিতা স্থগিত রাখার প্রার্থনা করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত স্থগিতাদেশ দেননি।
১ জুন ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালার ৩.১ ধারায় বলা হয়েছে, ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। ৯.১ ধারায় বলা আছে, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
এর আগে ৮ জুন পৃথক এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ রাজধানীর নটর ডেম, সেন্ট যোসেফ ও হলিক্রস কলেজের ক্ষেত্রে নীতিমালার ছয়টি ধারার কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। ১০ জুন চেম্বার আদালত ওই আদেশ বহাল রাখেন। এর ফলে এই তিনটি কলেজ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে।