হবিগঞ্জে সংঘর্ষ আহত ২০০

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এক সংঘর্ষে প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন এলাকায় গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় জংশনের প্ল্যাটফর্ম ও বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ সময় শায়েস্তাগঞ্জ জংশনের অদূরে আটকা পড়ে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর ট্রেন পাহাড়িকা ও ঢাকাগামী মালবাহী একটি ট্রেন। এ কারণে কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব লেঞ্জাপাড়া এলাকার জাহির মিয়া (২২) ও পূর্ব বড়চর গ্রামের জুনাইদ মিয়ার (২০) মধ্যে পূর্ববিরোধ নিয়ে গতকাল সকালে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে পূর্ব লেঞ্জাপাড়ার লোকজনের সঙ্গে পূর্ব বড়চরের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পূর্ব লেঞ্জাপাড়ার পক্ষ নিয়ে বিরামচর, পশ্চিম লেঞ্জাপাড়া, উবাহাটা, জগন্নাথপুর, মহলুলসুনাম, দাউদনগরের গ্রামবাসী এ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। একইভাবে পূর্ব বড়চরের পক্ষে নিয়ে তালুগড়াই, নিজগাঁও, নুরপুর, মড়রা, নিশাপট, কদমতলী গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে যোগ দেন। বেলা দুইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন ইটপাটকেল, বল্লম ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করেন।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাবার গুলি ছোড়ে ও বেশ কিছু কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দুই শতাধিক লোক আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪৬ জনকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এতগুলো গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় রেলস্টেশন ও এর আশপাশের এলাকায় ভাঙচুর চালায় সংঘর্ষকারীরা। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।