থানায় ককটেল ছুড়ল শিবির, আটক ৭

বগুড়া শহরের জামিলনগরের একটি ছাত্রাবাস থেকে ককটেল তৈরির সরঞ্জামসহ শিবিরের দুই কর্মীকে আটক করেছিল পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সংগঠনটির কর্মীরা সদর থানায় দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এরপর পুলিশ শহরের মালগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিবিরের আরও পাঁচ কর্মীকে আটক এবং ৪০টি ককটেল ও ককটেল তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করে। গতকাল সোমবার এসব ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটির মধ্যে বগুড়ায় জামায়াত ও শিবির নাশকতা চালাতে পারে—এমন আশঙ্কায় পুলিশ গতকাল বেলা একটায় শহরের জামিলনগরের শাহ সুলতান ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়। এ সময় তারা সেখান থেকে জর্দার কৌটা, পাথর, স্কচটেপসহ ককটেল তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করে। ওই ছাত্রাবাস থেকে শিবিরের কর্মী রবিউল ইসলাম (২১) ও এরশাদ আলীকে (২৩) আটক করা হয়। তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়ার ১৫ মিনিট পর শিবিরের কর্মীরা একত্র হয়ে বগুড়া সদর থানায় দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেন। এর মধ্যে একটি ককটেল থানার ছাদে বিস্ফোরিত হলেও অন্যটি হয়নি। এতে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর পুলিশ মালগ্রামের পদ্ম ও ইছারা ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়। পুলিশ ইফারোজ হাউস নামের ছাত্রাবাস থেকে ৪০টি তাজা ককটেল ও ককটেল তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এ সময় ওই ছাত্রাবাস থেকে তরিকুল ইসলাম (২৩), তোহা মিয়া (১৯), এনামুল হক (২০), আবু রায়হান (২৩) ও এনামুলকে (২২) আটক করা হয়।
শিবিরের বগুড়া শহর শাখার প্রচার ও ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ বিনা উসকানিতে শিবিরের সাত কর্মীকে আটক করেছে। তিনি দাবি করেন, পুলিশ ছাত্রাবাস থেকে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করার যে কথা বলছে, তা ঠিক নয়। এটা পুলিশের সাজানো নাটক। এ ছাড়া থানায় ককটেল নিক্ষেপের সঙ্গে শিবিরের কেউ জড়িত নন।
বগুড়া সদর থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম জানান, ঈদের আগে ও পরের যেকোনো দিন শিবিরের কর্মীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল। ওই তথ্যের ভিত্তিতে গিতকাল দুপুরে অভিযান চালানো হয়। আটক সাতজন থানা হেফাজতে আছেন।