আইন প্রতিমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ তারেকের

আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগে তারেক রহমানের পক্ষে তাঁর আইনজীবী কায়সার কামাল এ নোটিশ পাঠান।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে অবস্থিত ল রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে কায়সার কামাল জানান, রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এবং একটি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আইনি নোটিশে বলা হয়, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সম্প্রতি তারেক রহমান সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন। ২৫ ও ২৬ মে দৈনিক ‘সমকাল’ ও ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকায় ওই বক্তব্য ছাপা হয়। ‘সমকাল’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তারেক রহমান বিদেশে বসে সরকার উত্খাতের ষড়যন্ত্র করছেন...’। ‘ইত্তেফাক’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তারেক রহমান প্যারোল নিয়ে বিদেশে গেছেন। সেই প্যারোল আর নেই।’

আইনি নোটিশ পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীকে তাঁর ওই বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বিবাদীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, তারেক রহমান গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন।

ব্রিফিংয়ে কায়সার কামাল দাবি করেন, তারেক রহমান সম্পর্কে আইন প্রতিমন্ত্রীর ওই বক্তব্য মিথ্যা, অসত্য, অপমানজনক ও মানহানিকর। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তারেক রহমানকে হেয় করা হয়েছে।

তারেক রহমানের অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কায়সার কামাল দাবি করেন, তিনি (তারেক) সুপ্রিম কোর্টের আদেশে জামিনে চিকিত্সার জন্য বিদেশে রয়েছেন।

বনমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ: এর আগে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমানকে ‘ডাকাতের’ সঙ্গে তুলনা করে মানহানিকর ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাঁর পক্ষে আইনজীবী কায়সার কামাল গতকাল সোমবার রেজিস্ট্রি ডাক ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এ আইনি নোটিশ পাঠান।

নোটিশ পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে হাছান মাহমুদকে ওই অভিযোগ প্রমাণ করতে, নতুবা বক্তব্যের জন্য জনসমক্ষে ও তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।