বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করেছে বিএনপি-জামায়াতের কর্মকাণ্ড: প্রধানমন্ত্রী

সংসদে প্রধানমন্ত্রী (ফাইল ছবি)
সংসদে প্রধানমন্ত্রী (ফাইল ছবি)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বিএনপি-জামায়াত কারণবিহীন আন্দোলন করে শুধু দেশের সম্পদের ক্ষতি করেনি, দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট করেছে। তাদের কর্মকাণ্ড বৈদেশিক বিনিয়োগকে অনেকাংশে নিরুৎসাহিত করেছে।
জাতীয় সংসদে গতকাল বুধবার সরকারি দলের সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান। তিনি আরও জানান, বিএনপি-জামায়াতের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও অরাজকতার বিরুদ্ধে সারা দেশে অসংখ্য মামলা হয়েছে। এসব মামলা দ্রুত বিচারের জন্য সন্ত্রাস দমন আইনের অধীনে বিচারের জন্য জেলা জজদের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্তকাজ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরুর পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
শরীফ আহমদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানব পাচার একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। মানব পাচারকারীরা আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি মানব পাচারের বিষয়টি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ মানব পাচারের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় না দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং মানব পাচার রোধে এ অঞ্চলের দেশগুলো যাতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে, সে জন্য সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
সরকারি দলের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারির পরে হরতাল-অবরোধের নামে সহিংসতা ও নাশকতা, পেট্রলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারাসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে এবং এসব কর্মকাণ্ডের হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ফরহাদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাংলাদেশ সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা পরস্পরের উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারের জায়গাগুলো বুঝেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টিকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। তিনি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি শিগগির করার আশ্বাস দিয়েছেন।’