কচুয়ায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে

কচুয়া-কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের সুবিদপুর এলাকায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিএনপির সমর্থকেরা। ছবি: প্রথম আলো
কচুয়া-কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের সুবিদপুর এলাকায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিএনপির সমর্থকেরা। ছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুর জেলা কারাগারে বন্দী ও চিকিত্সাধীন বিএনপির নেতা দোলোয়ার হোসেন ওরফে দুলালের (৩৫) মারা যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার কচুয়া উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। নিহত দেলোয়ার কচুয়া উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।
কচুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করেন, দেলোয়ারকে জেলা কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে কচুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন গতকাল শুক্রবার রাতে হরতাল ডাকেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ ভোর ছয়টা থেকে হরতালের সমর্থনে কচুয়ার বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের জগত্পুর ও কচুয়া-ঢাকা সড়কের পালাখাল, রহিমানগর ও সাচার এলাকায় রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে পিকেটাররা। এ ছাড়া কচুয়া-কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের সুবিদপুর এলাকায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় পিকেটাররা পাঁচ থেকে ছয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হরতালের কারণে ঢাকা-কুমিল্লা ও চাঁদপুর-কচুয়ার যোগাযোগ বন্ধ আছে। এতে পূজা ও ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়া মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না।

জানতে চাইলে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আমির জাফর প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন দুলাল গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে চাঁদপুর কারাগারে বন্দী আছেন। তিনবার জামিন পেলেও প্রতিবারই তাঁকে নতুন মামলায় জেলগেটে আটকানো হয়। কারাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিত্সকেরা তাঁকে কুমিল্লা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

দেলোয়ারকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে—বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে চাঁদপুরের জেল সুপার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চিকিত্সার ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা হয়নি। দেলোয়ার জ্বর ও গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বলে তিনি দাবি করেন।