সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের নিন্দা বিএনপির

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

আগামীকাল রোববার ভোর ছয়টা থেকে ঢাকা মহানগরে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সন্ধ্যায় বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফখরুল এ নিন্দা জানান।  

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের চরম অগণতান্ত্রিক এই সিদ্ধান্তে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের আরও একটি অধ্যায় যুক্ত হলো। আগামীকাল অনুষ্ঠেয় পেশাজীবী এবং ২৫ অক্টোবর ১৮-দলীয় জোটের সমাবেশকে বানচাল করার জন্যই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ ধরনের একদলীয় সরকার-ব্যবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা তারা আগেও করেছে। কিন্তু পরিণতি হয় ভয়াবহ, সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে জনগণের কাছে চূড়ান্তভাবে ধিক্কৃত হয়। তিনি বলেন, এখন জনগণ নয়, এরা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পুলিশনির্ভর হয়ে পড়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আগামীকাল সকাল ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন  পুলিশের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের নিন্দা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

এদিকে আজ বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার সমঝোতার সমস্ত দরজা-জানালা ও পথ বন্ধ করে দিয়েছে।এখন একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই এই দরজা-জানালা খোলা সম্ভব।এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল (শুক্রবার) যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই প্রস্তাবের ওপর তাঁর নিজেরই কোনো আস্থা নেই।তাঁর ওই বক্তব্য বা প্রস্তাবের ওপর যদি ন্যূনতম আস্থা থাকত, তাহলে তিনি ঢাকায় সভা-সমাবেশের ওপর এ রকম নিষেধাজ্ঞা দিতে পারতেন না।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম কোনো গণতান্ত্রিক বোধ নেই।তারা ফ্যাসিবাদী সরকার।

দেশমাতৃক পরিষদ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল আরও বলেন, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ও জনগণের ভোট রক্ষার জন্য তাঁরা যে আন্দোলন করছেন, তাঁরা সেই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।