ছোট যমুনা দখল করে অবৈধ স্থাপনা, মার্কেট

নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় ছোট যমুনা নদীর দুই পাড় অবৈধভাবে দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা, মার্কেট ও দোকানঘর।
বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো পাউবোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
রানীনগরের মিরাট, কাশিমপুর ও সদর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রভাবশালী ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা তাঁদের বাড়ি ও জমির পাশে নদী দখল করে বাড়ি, মার্কেটসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যে উপজেলার বেতগাড়ী বাজারসংলগ্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি নদী দখলের ঘটনা ঘটেছে।
বাজারের আবদুল ওয়াহাব, নায়েব আলী, মুক্তার হোসেন, আবু তালেবসহ কয়েকজন নদী দখল করে গড়ে তুলেছেন বিশাল মার্কেট। বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, মার্কেটের মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ বাধা দিতে সাহস পান না।
মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আবদুস সামাদ দাবি করেন, মার্কেট তৈরিতে নদী দখল করা হয়নি। বরং মার্কেটের কিছু অংশ নদীর মধ্যে চলে গেছে।
এলাকাবাসী জানান, ওই মার্কেট নির্মাণের পর নদী দখল আরও বেড়েছে। মার্কেটের পাশে নদীর ওপর আরও ২০-২৫টি দোকান তৈরি করেছেন প্রভাবশালীরা।
বেতগাড়ী বাজার ছাড়াও নওগাঁর লিটন ব্রিজ থেকে শুরু করে রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার নদীর দুই পাড়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে অব্যাহতভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্থাপনা।
রানীনগর বাজারের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যেভাবে নদী দখল চলছে তাতে অল্প দিনের মধ্যে নদীর একটি বিরাট অংশ অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে যাবে।
দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে নওগাঁ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মুক্তার হোসেন বলেন, বেতগাড়ী বাজারের কিছু দোকান নদীর মাঝে চলে গেছে বলে মনে হলেও বেশির ভাগ মালিক তাঁদের জায়গায় রয়েছেন। কেউ যদি নদীর সীমানা দখল করে স্থাপনা তৈরি করেন তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।