আদালতের পর্যবেক্ষণ দিয়ে গম-সংক্রান্ত রিটের নিষ্পত্তি

ব্রাজিলের গম
ব্রাজিলের গম

পর্যবেক্ষণ দিয়ে গম-সংক্রান্ত রিটের নিষ্পত্তি করেছেন হাইকোর্ট। পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের মধ্যে যা বিতরণ হয়ে গেছে, কেউ তা ফেরত দিতে চাইলে সরকারকে নিতে হবে। আর বিতরণ না হওয়া গম কাউকে জোর করে দেওয়া যাবে না।
আজ বুধবার দুপুরের পর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রিটটির নিষ্পত্তি করেন।
ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে খতিয়ে দেখার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুন জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী পাভেল মিয়া। এ গম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনও আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এছাড়া ওই গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না, তা দেশের মাননিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিএসটিআই) ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মাধ্যমে পরীক্ষা করাতে আদালতের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
পরদিন এই গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না, তা জানতে চেয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। ওই আদেশ অনুসারে খাদ্য অধিদপ্তর গত রোববার আদালতে কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন দাখিল করে। শুনানি শেষে ৮ জুলাই এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত।
ব্রাজিলের গম ‘খাওয়ার উপযুক্ত’

আজ রিটটি নিষ্পত্তি করে আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের দেওয়া প্রতিবেদনে ব্রাজিল থেকে আনা গমকে খাওয়ার অনুপযোগী বলা হয়নি। তবে গম পরীক্ষার কয়েকটি নমুনায় জীবন্ত পোকামাকড়ের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আমদানি করা ২ লাখ ৫ হাজার ১২৮ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন গম ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এখন কেউ যদি বিতরণ করা ওই গম ফেরত দিতে চায়, তা হলে সরকারকে তা ফেরত নিতে হবে। আর বাকি যে গম আছে, তা কাউকে জোর করে দেওয়া যাবে না।

আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাঁকে সহযোগিতা করেন সানজীদ সিদ্দিকী।