আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় নববধূ সেলিনা আক্তার (২০) হত্যার ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী মনিবুর রহমান (২৫)।
গত মঙ্গলবার বিকেলে লাশ উদ্ধারের পর রাতেই নিহতের বড় ভাই ফারুক কামাল সেলিনার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ডোমার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিনুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, মনিবুর স্বীকারোক্তিতে বলেন, অন্য মেয়েকে দেখিয়ে সেলিনাকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে বিয়ের পর থেকেই তাঁদের বনিবনা হচ্ছিল না। তাই তিনি স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী সেলিনাকে বাবার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রওনা দেন। পথে নানা জটিলতা সৃষ্টি করে মনিবুর রাত করে ফেলেন।
তারপর ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে রিকশা ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটতে থাকেন। একসময় একটি ফাঁকা জায়গায় গিয়ে সেলিনার হাত-পা ও মুখ বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন।
পরে সারা রাত ঘোরাফেরার পর ভোররাতে নিজের মুখে টেপ আটকে নিজের দুই হাত একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। সকালে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করলে দুর্বৃত্তরা তাঁর স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিয়েছে বলে প্রচার করেন।
শাহিনুল ইসলাম জানান, মনিবুরের দেওয়া তথ্যানুসারে সেলিনার লাশ উদ্ধারের পর তাঁদের মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইকারীরা এগুলো লুট করেছিল বলেও প্রচার করেছিল মনিবুর।
মঙ্গলবার রাতেই মনিবুর, তাঁর বাবা বাহাদুর রহমান, মা মাজেদা বেগম ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।