২০ ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি

চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় টিকাটুলীর রাজধানী সুপার মার্কেটের ২০ ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, গতকাল শনিবার সকালে যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁদের হুমকি দিয়ে জানতে চান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক ওরফে মঞ্জুর বিরুদ্ধে র্যা বের কাছে কেন অভিযোগ করা হয়েছে? ময়নুল হক মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও রাজধানী সুপার মার্কেট মালিক সমিতির স্বঘোষিত সভাপতি। আর রেজাউল করিম মার্কেট সমিতির স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক।
র্যা ব সূত্র জানিয়েছে, চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ার পর ওই কাউন্সিলরকে খোঁজা হচ্ছে। তবে রেজাউলকে আটক করা হলেও রাজনৈতিক চাপে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, যুবলীগের হুমকি পাওয়ার পর মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এখন শঙ্কিত। এ বিষয়ে গতকাল তাঁরা র্যা ব ১০-এর কাছে জানিয়েছেন। তবে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় খবর ছাপা হওয়ায় তাঁরা শক্তি ফিরে পেয়েছেন বলে জানান।
জানতে চাইলে র্যা ব-১০-এর পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর প্রথম আলোকে বলেন, হুমকির বিষয়ে তিনি এখনো লিখিত অভিযোগ পাননি।
রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনে ও পাশে দুই শতাধিক ভাসমান দোকান গড়ে উঠেছে। গতকাল দোকানিরা অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ বিলের নামে প্রতিটি দোকান থেকে দুই হাজার টাকা করে তোলা হতো।
অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের হুমকির বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
ব্যবসায়ীরা আর জানান, গত শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত রহস্যজনকভাবে তাঁদের মার্কেটের বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জেনারেটর চালিয়ে তাঁরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।