জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্র নিহত

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের চকচকা গ্রামে দেবোত্তর জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মোরসালিন নামের এক মাদ্রাসার ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৪ জন। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসী ও আহত ব্যক্তিরা জানান, চকচকা গ্রামের রফিকুল ইসলাম এক একর ৭১ শতক দেবোত্তর জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁকে জমিটি স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু তিনি দখল ছেড়ে না দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। এ নিয়ে মসজিদ ও মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ গ্রামবাসীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় রফিকুলের পক্ষে সফির উদ্দীন ২০০৯ সালে বাদী হয়ে দিনাজপুর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। ২৩ অক্টোবর আদালত কিছু শর্ত সাপেক্ষে গ্রামবাসীর পক্ষে রায় দেন।
চকচকা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাকিম, আনওয়ারুল, আক্কাস আলী ও বাদশা অভিযোগ করেন, শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে রফিকুল ইসলাম ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ওই জমিতে ধান কাটতে যান। এই সময় গ্রামবাসী ধান কাটতে বাধা দেন। রফিকুলের লোকজন প্রতিরোধ সৃষ্টি করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সিরাজুল, হাকিম, আনওয়ারুল, আক্কাস আলী, ওমর আলীর ছেলে মোরসালিন (১৩), বাদশাসহ ১১ জন গ্রামবাসী ও রফিকুলসহ তাঁর পক্ষের শমশের আলী, মঞ্জুর ও মুতরাজ আহত হন।
মোরসালিনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ১২টার দিকে সে মারা যায়। সে হিলি আজিজিয়া মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
হাকিমপুর থানার ওসি আহসান হাবীব বলেন, লাশ দাফন নিয়ে গ্রামের লোকজন ব্যস্ত থাকায় থানায় এখনো মামলা হয়নি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ও আমার ভাইয়েরা মিলে জমিটি প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে ভোগদখল করছি। কিন্তু গ্রামের কিছু লোক জমিটি ছিনিয়ে নিতে চায়। মামলার রায়ের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় শুক্রবার সকালে জমিতে ধান কাটতে যাই। তখন বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।’