ছাত্রলীগের 'বড়' নেতাদের ওপর অনাস্থা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি, ছাত্রী হয়রানি, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা ও সংগঠন বিরোধী কাজের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন সংগঠনেরই মধ্যম ও নিম্ন পর্যায়ের অর্ধশত নেতা। আজ মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা এসব অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে দুজনই অনুপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে যুগ্ম-সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান ও খন্দকার তায়েফুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ৫০ নেতার স্বাক্ষর ছিল। সংগঠনের একটি সূত্র জানায়, কোনো এক মামলার কারণে সাইফুল পুলিশের হেফাজতে থাকলেও সম্মেলন চলার সময় মুর্শেদুজ্জামান ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তায়েফুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সালের ৮ মে শীর্ষ দুটি পদ পাওয়ার পর থেকেই মুর্শেদুজ্জামান-সাইফুল ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ছাত্রলীগের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি, ছাত্রী হয়রানি, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও সংগঠন বিরোধী কাজ করেছেন। এ কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে দু-একজন ছাড়া কোনো ছাত্রীর অংশগ্রহণ নেই। জামায়াত-শিবিরের অনুচরদের বিভিন্ন পদ দেওয়া হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘অনেক নেতা টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে মামলার আসামি হয়েছেন। সভাপতির ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। কেওয়াটখালী এলাকায় বর্তমান কমিটির কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা হামলা চালাতে গিয়ে কয়েকটি মামলার আসামি হয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের অস্ত্র আইনে মামলাও রয়েছে। বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এসব অপরাজনীতির দায়ভার অন্য নেতারা নেবেন না।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার আসামি ও বিপথগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ বিষয়ে মুর্শেদুজ্জামান খানের মুঠোফোন বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।