লামা পানির নিচে, পাহাড়ধসে নিহত ৬

বান্দরবানের লামা উপজেলা সদরে পাহাড়ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়জনে। তাঁদের মধ্যে তিন শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পাহাড়ি ঢলে ও নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লামা উপজেলা সদরের বেশির ভাগ এলাকা তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বশির আহমেদ (৫৫), তাঁর মেয়ে রোজিনা আক্তার (৩৫), রোজিনার ছেলে সাজ্জাদ (০৫) ও মেয়ে ফাতেমা (০৮), বশিরের ছেলে মো. সাগর পুটু (১৬) এবং আমেনা বেগম (৩৪)। এ ঘটনায় আরাফাত (১৬) নামে এক কিশোর আহত হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর ভাষ্য, লামা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল এলাকার বরিশাল পাড়ায় হঠাৎ পাহাড় ধসে তিনটি বাড়ির ওপর পড়ে। এতে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই শিশু ও দুই নারী মাটিচাপা পড়ে মারা যান। নিখোঁজ হন বশির আহমেদ ও তাঁর নাতনি ফাতেমা। আরাফাত (১৬) নামের আরেক কিশোরকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সকালে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এসআই (ওসি) রবিউল হাসানের ভাষ্য ছিল, ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি সরিয়ে ভোরের দিকে একজনকে আহত ও চারজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, লামা থানা, উপজেলা পরিষদ, হাসপাতালসহ সবকিছু পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন ও চিকিৎসকসহ সবাই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।

ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, লামা উপজেলা এখন পানির নিচে। তাই উদ্ধারকাজে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তার পরও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিকেল চারটার দিকে মাটির নিচ থেকে বশিরের আর পাঁচটার দিকে ফাতেমার লাশ উদ্ধার হয়।

লামা হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা খগেশ প্রতি চন্দ্রের ভাষ্য, গতকাল রাত পর্যন্ত লামা উপজেলা সদরে কোনো পানি ছিল না। রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে হঠাৎ পাহাড়ি ঢলের পানি এসে উপজেলা শহরটি ডুবে যায়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে কেউ দোতলা বাড়িতে ও কেউ পাহাড়ে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।