মহেশপুরের বিভিন্ন সড়ক বেহাল

কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিল-ভৈরবা সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিল-ভৈরবা সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো

কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা।
মহেশপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা, ইউনিয়ন আর গ্রামীণ মিলে সড়ক আছে ৮৮২ কিলোমিটার।
এর মধ্যে পাকা সড়ক ২০৭ কিলোমিটার, আধা পাকা ১৮৯ কিলোমিটার ও কাঁচা সড়ক ৪৮৬ কিলোমিটার। মোট রাস্তার সংখ্যা ৩৩৫টি, যার মধ্যে আনুমানিক দুই শতাধিক সড়কের আংশিক পাকা ও আধা পাকা। ওই পাকা ও আধা পাকা সড়কগুলোর বেশির ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই সরেজমিনে দেখা যায়, মহেশপুর-যাদবপুর সড়ক, যাদবপুর-রুলী সড়ক, জলুলী-যাদবপুর সড়ক, মহেশপুর-ভৈরবা সড়ক, ভৈরবা-সামন্তা সড়ক, সামন্তা-জিন্নাহনগর সড়ক, সামন্তা-কচুয়ারপোতা সড়ক, জিন্নাহনগর-দত্তনগর সড়ক, পদ্মপুকুর-শ্যামকুড় সড়ক, দত্তনগর-পান্তাপাড়া সড়ক, শ্যামবাজার-পান্তাপাড়া সড়ক, গুড়দাহ-তৈলটুপি সড়ক, দত্তনগর-কুশুমপুর সড়ক, কুশুমপুর-শ্যামকুড় সড়ক, নাটিমা-শ্রীরামপুর সড়ক ভাঙাচোরা। ভৈরবা সড়কে চলাচলকারী বাসের চালক শিমুল হোসেন বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় করেও তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। অনেক সময় মাঝপথেই গাড়ি আটকে থাকছে।
উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মজিদ বলেন, মহেশপুর-ভৈরবা সড়কের এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কটি কর্তৃপক্ষ মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আল ইমরান বলেন, তাঁর এলাকার পাকা ও আধা পাকা প্রায় ১৫টি সড়ক ভেঙে গেছে। পান্তাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন, তাঁর এলাকার আটটি সড়কের অবস্থা বেহাল। বাঁশবাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বলেন, তাঁর এলাকায় প্রায় ২০টি সড়কের অবস্থা খারাপ। মেরামতের জন্য তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে একটি তালিকা পাঠিয়েছেন বলে জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকারিয়া ইসলাম বলেন, সড়কগুলোর কিছু কিছু জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, তবে সব জায়গায় নয়। ভাঙাচোরা সড়ক ঠিক করতে প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রয়োজন। সেখানে পাওয়া গেছে মাত্র পাঁচ কোটি, যা দিয়ে সস্তা-ভৈরবা সড়ক প্রশস্ত করাসহ মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাদবপুর-মহেশপুর সড়ক মেরামতেও ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা। এ ছাড়া উপজেলার আরও প্রায় ৩০টি ভাঙাচোরা সড়কের জরিপ চলছে।