ফ্ল্যাটের দাম এত হওয়ার কারণ নেই

ঢাকায় ফ্ল্যাটের দাম এত হওয়ার যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রকৌশলীরা। তাঁরা বলেছেন, জমির অস্বাভাবিক দাম ও অসামঞ্জস্য হস্তান্তরের কারণে ঢাকায় ফ্ল্যাটের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত চার-পাঁচ বছরের মধ্যে এই ব্যবসার অবস্থা এখন সবচেয়ে খারাপ। আবাসন খাতের মন্দা না কাটলে ব্যবসায়ীদের পুঁজি হারাতে হবে।

আজ শনিবার দুপুরে পান্থপথে আবাসন প্রতিষ্ঠান শেলটেক কার্যালয়ে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে অনেক ব্যবসা বা শিল্প গড়ে উঠেছে যার নিয়ন্ত্রণ বিদেশিদের কাছে। কিন্তু আবাসন খাতের নিয়ন্ত্রণ এ দেশের মানুষের হাতে রয়েছে। তাই এই ব্যবসাকে টিকেয়ে রাখতে হবে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ফ্ল্যাটের দাম রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক এম সিরাজের লেখা ‘রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ব্যবসা সৃষ্টিশীল আর চাকরি সৃষ্টিশীল নয়। শুধু ব্যবসা না করে ব্যবসায়ী জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লেখা ভালো। এতে অনেক মানুষের উপকার হয়। তিনি বলেন, মোনায়েম খান ও নুরুল আমিনের কথা মানুষ ভুলে গেছে। কিন্তু ভাষা আন্দোলন আর তা নিয়ে লেখা গান, সুর কেউ ভোলেনি, ভুলবেও না।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, সরকারি প্লট পেয়েছেন, কিন্তু ‘ব্ল্যাকে’ বিক্রি করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঢাকায় অসামঞ্জস্যভাবে জমি হস্তান্তর হচ্ছে, এতে ফ্ল্যাটের দাম বাড়ছে। তিনি ঢাকার চারপাশের নদী রক্ষার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

পানি বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, আবাসন খাতের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে হওয়া চুক্তি সুস্পষ্ট হতে হবে। তাহলে কোনো পক্ষেরই মন কষাকষি হবে না।

তৌফিক এম সিরাজের লেখা ‘রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট’ বই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আবাসন খাত অনেক বড়। একে টিকিয়ে রাখতে হবে। তিনি বইটি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এ খাতের সংশ্লিষ্টদের জন্য বইটি প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে শেলটেকের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন ব্যবসা মন্দা। সেই সুযোগে তৌফিক বইটি লিখে ফেলেছে।