ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অন্তত বাংলাদেশে এটা চলতে দেওয়া হবে না।...আমরা এ দেশে এটা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না।’
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সহধর্মিনী ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৮৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্লগার হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা চলতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। কাজেই সেই স্বাধীনতার চেতনাটা আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটছে এবং সরকার সেগুলো মোকাবিলা করছে। অন্তত আমাদের সরকার অলস বসে নেই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের নানা প্রান্তে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলোর ঢেউ বাংলাদেশেও আছড়ে পড়ছে। আমরা তা কঠোর হাতে দমনের চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। এরপর দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা চালাতে নানা ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। 

সৌদি আরবে জুমার নামাজের পর আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কি মুসলমান? যারা আত্মঘাতী হামলা করে অন্য মুসলমানদের হত্যা করে, তারা কীভাবে মুসলমান? তারা কোন ধর্মকে রক্ষা করছে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল কায়দা দাবি করেছে তারা এখানে ব্লগারদের হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ‘এ সহিংসতার উত্তর কোথায় পাওয়া যাবে...আত্মঘাতী হামলা করে মুসলমান মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। আবার ধর্মের বিরুদ্ধে লেখার অভিযোগে ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। তাহলে কোনটি ঠিক, কোনটি সত্য, মানুষ কোনো পথ অনুসরণ করবে।’
ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ইসলামকে কলুষিত করছে, তারা কোনো ধর্মে বিশ্বাসী হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘একজন মুসলমান হয়ে অন্য মুসলমানকে হত্যা করে তারা কীভাবে নিজেদের মুসলমান দাবি করে। একদিকে তারা মানুষ মারবে, অন্যদিকে ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটবে। আমরা এটি হতে দেব না...অন্তত বাংলাদেশে হতে দেব না।’