নীলফামারীর নদী থেকে উদ্ধার শিশুর লাশ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নদী থেকে সবুজ (১৪) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের বুল্লাই নদী থেকে গত শুক্রবার রাতে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ওই নদীর কচুরিপানার নিচে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন। নিহত সবুজ ওই গ্রামের মৃত আতিকুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় সবুজের মা সুরজন বেওয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে গতকাল শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, সবুজের বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরের বুল্লাই নদীতে তার মৃতদেহ রাত ১০টার দিকে দেখতে পান প্রতিবেশী হাচানুল ইসলাম। তিনি এ সময় সেখানে মাছ ধরছিলেন।
হাচানুল ইসলাম বলেন, ‘মাছ ধরতে গিয়ে দেখি পানির নিচে দুটি পা দেখা যাচ্ছে। আর মাথার অংশটা কচুরিপানার নিচে। এ সময় আমার সঙ্গে মাছ মারতে যাওয়া মুকুল ও আনারুলকেও দেখাই। আমরা ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করি।’
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, চৌকিদার ও লোকজন ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করেন ওই রাতেই। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। সবুজের মা সুরজন বেওয়া ছেলে সম্রাট ও সবুজকে নিয়ে রংপুরে থেকে মানুষের বাসায় কাজ করেন বলে জানান। পাঁচ দিন আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন।
সুরজন বেওয়া বলছিলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় রাতের খাবার খেয়ে সম্রাট ও সবুজকে নিয়ে ঘুমাতে যাই। এর কিছুক্ষণ পর সবুজ টেলিভিশনে কিরণমালা দেখার কথা বলে পার্শ্ববর্তী মাবুর স্ট্যান্ড এলাকায় যায়। আমি কিছু সময় পর সেখানে গিয়ে তাকে না পেয়ে ভাবলাম হয়তো অন্য কোথাও টেলিভিশন দেখতে গেছে। এই ভেবে আবারও বাড়িতে এসে ঘুমাই। রাত ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধারের খবর পাই।’ সুরজন বেওয়া বলেন, ‘আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জাকির হোসেন খান গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।