বঙ্গবন্ধুর দর্শনে কাঙাল শব্দ ছিল না: ইমরান
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনে ‘কাঙাল’ বলে কোনো শব্দ ছিল না। অথচ, আজ দিকে দিকে কাঙালি ভোজ হচ্ছে। যাঁরা কাঙালি ভোজ করাচ্ছে, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আজ শনিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা: আমরা কি ঠিক পথে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ইমরান এসব কথা বলেন।
ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এখন বাণিজ্য করা হচ্ছে। রাস্তাঘাট ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুনে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছোট করে দিয়ে এলাকার মাস্তান, রংবাজরা হাসিমুখে বিশাল বড় ছবি লাগিয়েছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেই আওয়ামী লীগের ভেতরের এই চাটুকার, সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গণজাগরণ মঞ্চ আয়োজিত এই সভায় ইমরান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, তা মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি এবং তার ভিত্তিতে লেখা বাহাত্তরের সংবিধান দেখলেই স্পষ্ট হয়। তিনি চেয়েছিলেন সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি, বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। অথচ আজ সমাজে নানাভাবে বৈষম্য বেড়ে চলছে।
সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবু সাঈদ খান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে অনেক দূর সরে এসেছে বাংলাদেশ। সরকারিভাবে মৌলবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতির পথকে দুর্গম করে ফেলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সোচ্চার তরুণদের একের পর এক হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবির বলেন, পঁচাত্তরের পনেরো আগস্টের পর থেকে বারবার মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতিকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গড়তে হলে সাংবিধানিক অস্পষ্টতাগুলো দূর করতে হবে।
ভাস্কর রাশা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে সাধারণ মানুষের সম্পদ লুটপাটকারীদের বিচারের আওতায় এনে জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।