দুদকের অভিযোগপত্র অনুমোদন

গ্রাহকদের ১১টি বন্ধ অ্যাকাউন্ট সচল করে ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সিটি ব্যাংকের নয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেয় কমিশন।

অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, শিগগিরই বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।

দুদক সূত্র জানায়, ওই সব কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে সিলেটের জিন্দাবাজার ও মৌলভীবাজারের সিটি ব্যাংকের দুটি শাখায় ১১ জন গ্রাহকের ১১টি বন্ধ অ্যাকাউন্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সচল করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে সিটি ব্যাংকের আন্দরকিল্লা, বন্দরটিলা ও জুবিলি রোড শাখায় তিনটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ১১টি অ্যাকাউন্টের টাকা হস্তান্তর করেন। পরে ব্যাংক থেকে সরবরাহ করা এটিএম কার্ড ব্যবহার করে তুলে নেন ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

২০১২ সালের ৪ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ বিষয়ে মামলা করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ আবদুস সালাম এ মামলাটি তদন্ত করেন। মামলা পরবর্তী তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।

যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন হয়েছে তাঁরা হলেন- ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মোস্তাকুর রহমান, প্রায়োরিটি ব্যাংকিংয়ের সেন্ট্রাল ম্যানেজার (জুবিলি রোড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক) মো. আনিসুর রহমান, চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক (আন্দরকিল্লা শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, হালিশহর শাখার ব্যবস্থাপক (বন্দরটিলা শাখার সাবেক ব্রাঞ্চ অ্যান্ড সার্ভিস ম্যানেজার) মো. ইকবাল গণি সিদ্দিকী, হালিশহর শাখার এসিএসএম (বন্দরটিলা শাখার সাবেক কাস্টমার সার্ভিস অফিসার) মো. এ এস এম আতিক উল্লাহ ও চকবাজার শাখার ব্রাঞ্চ অপারেশন ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম, কম্পিউটার অপারেটর মো. মামুনুর রশিদ শাহিদ, সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর মো. জাহেদুল ইসলাম ও আবুল কাশেম।