চাঁদপুরে হামলার ঘটনায় আটক ৮

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর যুবলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনায় আটক পাঁচজন। ছবি: আলম পলাশ, চাঁদপুর
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর যুবলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনায় আটক পাঁচজন। ছবি: আলম পলাশ, চাঁদপুর

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর যুবলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনায় আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার বিকেল অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
আটক পাঁচজন হলেন-পালা খাল ডিগ্রি কলেজের ছাত্র মোজাম্মেল হক (২২), কৃষিজীবী আলাউদ্দিন (৩২), মো. সবুজ (১৯), অজি উল্লা (৩২), ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. ইমরান হোসেন, একই স্কুলের ছাত্রী ও যুবলীগ কর্মী ফারুকের বোন পপি আক্তার (১৫), মনির (২৫) ও লিটন (২৭)। এঁদের মধ্যে মোজাম্মেল হক, পপি আক্তার, মনির ও লিটন এই মামলার তালিকাভুক্ত আসামি।
ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠান করার জন্য গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ফারুক, লিটন ও মনিরসহ একদল যুবক স্কুলে গিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই টাকা না দেওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার ও সহকারী শিক্ষক ফজলুর রহমানকে তাঁরা লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিছিল করলে যুবলীগ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এঁদের মধ্যে এখনো গুরুতর আহত চারজন কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।

এ প্রসঙ্গে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, রোববার রাতে ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ফারুক, লিটন ও মনিরসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ আনা হয়।

চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল হানিফ বলেন, গতকাল রাত থেকে আজ ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পরে দুপুরের দিকে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে কচুয়ার সাচার এলাকা থেকে পপিকে আটক করা হয়। সে তার মাসহ কোথাও পালিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে দুপুর দুইটার দিকে চাঁদপুর থেকে একটি লঞ্চে করে ঢাকা যাওয়ার পথে মতলব উপজেলার মোহনপুর ঘাটে মনির ও লিটনকে আটক করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠান করার জন্য গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ফারুক, লিটন ও মনিরসহ একদল যুবক স্কুলে গিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই টাকা না দেওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার ও সহকারী শিক্ষক ফজলুর রহমানকে তাঁরা লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিছিল করলে যুবলীগ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এঁদের মধ্যে এখনো গুরুতর আহত চারজন কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
এ প্রসঙ্গে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, রোববার রাতে ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ফারুক, লিটন ও মনিরসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ আনা হয়।
চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল হানিফ বলেন, গতকাল রাত থেকে আজ ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পরে দুপুরের দিকে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে কচুয়ার সাচার এলাকা থেকে পপিকে আটক করা হয়। সে তার মাসহ কোথাও পালিয়ে যাচ্ছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।