কুষ্টিয়ায় আ.লীগের ৪ নেতার অস্ত্রের নিবন্ধন বাতিল

কুষ্টিয়ায় জাতীয় শোক দিবসের র‍্যালি শেষে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আনিচুর রহমান ওরফে আনিচ নামে এক ব্যক্তি শটগান দিয়ে গুলি ছোড়েন। আনিচুর ছিলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। প্রায় দেড় বছর আগে ঢাকার পল্লবী থানায় থাকাকালে ফেনসিডিল আত্মসাতের দায়ে তিনি চাকরিচ্যুত হন। এই শটগানটি শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজের নামে নিবন্ধন করা। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত
কুষ্টিয়ায় জাতীয় শোক দিবসের র‍্যালি শেষে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আনিচুর রহমান ওরফে আনিচ নামে এক ব্যক্তি শটগান দিয়ে গুলি ছোড়েন। আনিচুর ছিলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। প্রায় দেড় বছর আগে ঢাকার পল্লবী থানায় থাকাকালে ফেনসিডিল আত্মসাতের দায়ে তিনি চাকরিচ্যুত হন। এই শটগানটি শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজের নামে নিবন্ধন করা। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নামে থাকা ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। গত শনিবার জাতীয় শোক দিবসে র‍্যালি শেষে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের এক সমর্থক নিহত হন। এতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় আজ সোমবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) এ সিদ্ধান্ত নেন।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, লাইসেন্স বাতিলের তালিকা পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বাতিল হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান লাবুর একটি; সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজের তিনটি, শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজের দুটি; মিরপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ জোয়ার্দারের একটি, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক মো. আলী জোয়ার্দারের একটি এবং কুষ্টিয়া পৌর ৬ নম্বর হাউজিং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী মোস্তাফিজুর রহমানের একটি। অন্য অস্ত্রের ব্যাপারে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। এসব অস্ত্রের মধ্যে ১৫ আগস্ট সংঘর্ষের সময় যে শটগানটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও রয়েছে। এই শটগানটি মোমিনুর রহমানের নামে নিবন্ধন করা।
জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ছয়টি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত শটগানটিসহ বাকি চারটি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য মালিকদের জানানো হচ্ছে। তাঁরা নিজে থেকে এসব অস্ত্র জমা না দিলে সেগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
গত শনিবার জাতীয় শোক দিবসে জেলা আওয়ামী লীগের র‍্যালি শেষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সঙ্গে মোমিনুর রহমানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে সবুজ হোসেন (২৪) নামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থক নিহত হন।