'অদেখা শত্রু চারদিকে'

প্রতিদিন আমরা যে খাবার খাচ্ছি, যে পানি পান করছি, তা নিরাপদ কি না, আমরা দেখতে পাচ্ছি না। খাবার ও পানিতে মিশে থাকা এই অদেখা শত্রু আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে। এর হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের প্রকৃতি-মাকে ভালোবাসতে হবে, যত্ন করতে হবে।
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণাগারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিবেশবিষয়ক সচেতনতামূলক এক সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। সভার প্রতিপাদ্য ছিল—আমাদের মাটি, পানি ও বাতাসকে কীভাবে বাস উপযোগী রাখা যায়? এগুলোতে মিশে আছে অদেখা শত্রু।
সভায় বক্তা ছিলেন পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার কিছু মানুষ এবং আলোচক ছিলেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক এম মনজুর হোসেন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নূর জাহান বেগম। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক জাহাঙ্গীর শাহ।
কীটনাশক ছিটাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হজরত আলী বলেন, বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু এই বিষ থেকে তিনি মুক্তির উপায় জানতে চান। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মহিউদ্দিন বলেন, ড্রেনের ওপর স্ল্যাব না থাকার জন্য মানুষ সব ধরনের আবর্জনা ড্রেনে ফেলছে। অনেকেই তাঁদের বাসার স্যুয়ারেজ লাইন ড্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত করে রেখেছেন। তাঁরা এর ক্ষতিকারক প্রভাবের শিকার হচ্ছেন।
নলকূপ মিস্ত্রি আবুল কাশেম বলেন, আগে তাঁরা ৫০-৬০ ফুট গভীরে সুন্দর পানি পেয়েছেন। এখন ১৫০-১৬০ ফুট গভীরে যেতে হচ্ছে। দেড় ইঞ্চির জায়গায় তিন ইঞ্চি পাইপ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কত নিচে নেমে গেছে।
আলোচক এম মনজুর হোসেন বলেন, একটি আদর্শ নগরের প্রধান শর্ত হচ্ছে এর পরিকল্পনা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পয়োনিষ্কাশন, যোগাযোগ ও ট্রাফিক-ব্যবস্থা সচল থাকতে হবে। আমাদের এখানে পয়োনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।