নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বাম মোর্চা

সর্বদলীয়, না নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে—এ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি প্রস্তাবের সমালোচনা করে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা একটি সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণের প্রস্তাব দিয়েছে।
কয়েকটি বাম সংগঠনের এ মোর্চা গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের বিবদমান অবস্থানের সমালোচনা করে বলেছে, নির্বাচনব্যবস্থা টাকার খেলা এবং পেশিবাজদের উন্মত্ত প্রতিযোগিতায় অধঃপতিত হয়েছে। মোর্চার পক্ষে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী পাসের সমালোচনা করে বলা হয়, এর ফলে নির্বাচনে টাকার খেলাকে আইনগত ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হক লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। সংবাদ সম্মেলনে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশ যখন শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার ভেতর রয়েছে, ঠিক সে সময়ই সরকার জননিরাপত্তার অজুহাত তুলে ঢাকায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রুদ্ধ করেছে—যা সংবিধানের গুরুতর লঙ্ঘন। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার পূর্বঘোষিত গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।