হাতিয়ার মেঘনায় ১৮ জেলে অপহরণ

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদী থেকে জলদস্যুরা ১৮ জনকে অপহরণ করেছে। এ সময় ১৭টি মাছ ধরার ট্রলারে লুটপাট চালিয়ে জলদস্যুরা একটি ট্রলার নিয়ে যায়। নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণে দমারচরের কাছে গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার জেলেদের বরাত দিয়ে হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. রাশেদ উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে বলেন, সোমবার রাত দেড়টার দিকে মেঘনার দমারচরের কাছে মাছ ধরার সময় জলদস্যুরা জেলেদের ওপর হঠাৎ হামলা করে। জলদস্যুরা কাউয়্যা কামাল, সাইফুল্যা, আলাউদ্দিন ও সালাউদ্দিন বাহিনীর সদস্য। তারা জেলেদের মারধর করে ১৭টি ট্রলারে ডাকাতি করে বিপুল পরিমাণ ইলিশ, মাছ ধরার জাল ও অন্য মালামাল নিয়ে যায়। একই সময় দস্যুরা তিনটি ট্রলার থেকে হাইড্রোলিক পাম্প ও মবিল পাম্প খুলে ট্রলারগুলো নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
রাশেদ উদ্দিন আরও বলেন, জলদস্যুরা ডাকাতি করে যাওয়ার সময় ‘মা জননী’ নামের একটি ট্রলার নিয়ে যায়। ওই ট্রলারে মাঝি শের আলীসহ ১৮ জন জেলে আছেন। বাকিদের নাম জানা যায়নি। তিনি বিষয়টি কোস্টগার্ড ও হাতিয়া থানা-পুলিশকে জানিয়েছেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল হুদা বলেন, এ ঘটনাটি হাতিয়ার সীমানায় হয়নি। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা এলাকায় বঙ্গোপসাগরের গ্যাস ফিল্ড এলাকায় হয়েছে। তিনি শুনেছেন, অপহৃত জেলেদের কাছে থেকে ইলিশ মাছ ও অন্য মালামাল লুট করে দুপুরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের কমান্ডার লে. তানভির আহমেদ গতকাল বিকেলে বলেন, সকালে ঘটনা জানার পর জাহাজমারা থেকে কোস্টগার্ডের একটি দল অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে মেঘনার দমারচর এলাকায় যায়। কিন্তু তারা গিয়ে কাউকে পায়নি। দুপুরে তারা জানতে পেরেছে, জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের নিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার দিকে চলে গেছে। ওই এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী কোস্টগার্ড সদস্যদের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।