মানুষকে রাজপথে নামানোর কৌশল বললেন মওদুদ

মওদুদ আহমদ। ফাইল ছবি
মওদুদ আহমদ। ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়—মানুষের মনে দলটিকে এমন আস্থা তৈরি করতে হবে, তাহলেই মানুষ রাস্তায় নামবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মওদুদ এ কথা বলেন। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘অষ্টম কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মওদুদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনই হবে। এটি সময়ের ব্যাপার। তারেক রহমানের দেশে ফেরাও সময়ের ব্যাপার। তবে এখন সে পরিবেশ নেই। যেদিন গণতন্ত্র ফিরে আসবে, সেদিন তারেকও ফিরে আসবেন।
সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমানের ওপর ‘নির্যাতনের’ বর্ণনা দিয়ে মওদুদ বলেন, এ নির্যাতনের উদ্দেশ্য ছিল তারেক রহমানকে হত্যা করা।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ— এমন মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন করলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না। রাজনৈতিক সংস্কৃতি উন্নত করবে। কেউ যাতে গণতন্ত্রকে হারিয়ে দিতে না পারে, সে জন্য সচেতন থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে অবশ্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, তিনি মওদুদ আহমদের সঙ্গে দ্বিমত করছেন না। কিন্তু গুম, খুন, টেন্ডারবাজি, লুটপাট— এসবের বিচার না হলে এই সংস্কৃতি থেকেই যাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার বিএনপির ‘গোটা পঞ্চাশেক’ লোক জোগাড় করতে পারলে হুট করে নির্বাচন দিয়ে দেবে। সেই নির্বাচন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সাজা দিয়ে, তাঁদের মাইনাস করেও হতে পারে আবার মাইনাস না করেও হতে পারে। একা একা আরামে থাকার চিন্তা না করতে তিনি দলের নেতাদের পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি দলের প্রয়াত মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার পরিণতির কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।

সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, বিএনপি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না, কারণ যে ধরনের সাহস ও কাজ নিয়ে জনগণের পাশে থাকা উচিত ছিল, বিএনপি তা করতে পারছে না। এর কারণ দলের বিভেদ, বিভক্তি।

অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ–উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার প্রমুখ বক্তব্য দেন।