কিশোরী গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগ

রাজধানীর মিরপুরে তাহমিনা আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরী গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গৃহকর্মীর পরিবার থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি বলেও অভিযোগ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাহমিনার পরিবার সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করে।
তাহমিনার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরে। গতকাল সকালে তাহমিনার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে লাশ নিয়ে এলাকাবাসী কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ‘তাহমিনা হত্যার’ বিচার দাবি করেন। পরে জেলা প্রশাসক জি এস এম জাফরউল্লাহ বিক্ষোভকারীদের জানান, তিনি সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তাহমিনা মিরপুরের মনিপুরে মো. মামুন ওরফে লিটন নামের এক আইনজীবীর বাসার গৃহকর্মী ছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরের ওই বাসা থেকে তাহমিনার লাশ উদ্ধার করে মিরপুর থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, লাশটি একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। পরে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, মিরপুরের ওই বাসায় স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে থাকেন আইনজীবী মামুন। মঙ্গলবার সকালে তাঁর স্ত্রী গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। ছেলে যায় স্কুলে। মামুন আদালতে যান। দুপুর ১২টার দিকে ছেলে বাসায় ফিরে দেখেন, তাহমিনা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে ঘটনা জানাজানি হয়।
এসআই জহিরুল বলেন, মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তাহমিনার বাবা জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আইনজীবী মামুন তাঁর মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন। তাহমিনাকে প্রায় সময় মারধর করতেন মামুন। ঘটনার পর হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি। তবে মিরপুর থানার ওসি ভূঁইয়া মাহবুব হাসান মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে আইনজীবী মামুনের মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।