মাদ্রাসাছাত্র হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার রিকাবি চকচকা গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র মোরসালিন (১৩) হত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সঞ্চারকলিপি দিয়েছে গ্রামবাসী। রিকাবি চকচকা গ্রামবাসীর ব্যানারে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।
নিহত মোরসালিন ওই গ্রামের উমর আলীর ছেলে ও রিকাবি চকচকা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
ইউএনও আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘মোরসালিন হত্যার ন্যায় বিচার দাবি করে গ্রামবাসী আমার কাছে একটি সঞ্চারকলিপি দিয়েছে। এ ব্যাপারে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের সমঞ্চুখীন করা হবে।’
গ্রামবাসী জানায়, রিকাবি চকচকা গ্রামের রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে এক একর ৭১ শতক দেবোত্তর জমি অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। গ্রামবাসী জনকল্যাণমূলকসহ স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য জমিটির দখল ছেড়ে দিতে রফিকুলকে অনুরোধ করে। জমির দখল না ছেড়ে রফিকুল চাষাবাদ করতে থাকেন। এ নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে রফিকুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় রফিকুলের পক্ষে সফির উদ্দীন ২০০৯ সালে বাদী হয়ে জমি দখলে রাখার জন্য গ্রামবাসীকে বিবাদী করে দিনাজপুর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। ২৩ অক্টোবর আদালত কিছু শর্ত সাপেক্ষে গ্রামবাসীর পক্ষে রায় দেন। কিন্তু ২৫ অক্টোবর সকালে রফিকুল ২০-২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে ওই জমিতে ধান কাটতে থাকেন। এ সময় গ্রামবাসী একজোট হয়ে ধান কাটতে বাধা দেয়। এ কারণে রফিকুলের লোকজন গ্রামবাসীর ওপর হামলা করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় মোরসালিন নিহত এবং ১৪-১৫ জন গ্রামবাসী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় গ্রামবাসী এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আহসান হাবীব বলেন, এ ঘটনায় মোরসালিনের বাবা উমর আলী বাদী হয়ে ২৮ অক্টোবর রফিকুলসহ ২৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে সম্ভাব্য স্থানেও অভিযান চালানো হচ্ছে।