দুদকের করা মামলায় সাংসদ বদির বিচার শুরু

.
.

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমদ জমাদার এ অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে সাংসদ আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলার বিচারকাজ শুরু হলো।
আদালতে উপস্থিত এ মামলায় জামিনে থাকা আবদুর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
গত ১৯ আগস্ট মামলার দায় থেকে সাংসদ আবদুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। গতকাল দুদক ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অধিকতর শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী কবির হোসেন গতকাল আদালতে বলেন, ২০০৮ সালে আবদুর রহমানের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকার। ২০১৩ সালে তিনি যে আয়কর বিবরণী দাখিল করেন তাতে দেখা যায়, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকার। দুদক গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি সম্পদের বিবরণী চেয়ে আবদুর রহমানকে নোটিশ দেয়। নোটিশ পাওয়ার পর গত বছরের ২০ মার্চ ৫ কোটি ২০ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৩ টাকার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। বাকি ১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার তথ্য তিনি গোপন করেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হোক।
আবদুর রহমানের পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, সাংসদ আবদুর রহমান বদি আয়কর বিবরণী দাখিল করেছেন। দুদকে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তাতে তথ্যগত ভুল রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সঠিক নয়। তাঁর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব আহমেদ ও নাসরিন সিদ্দিকা।
সাংসদ আবদুর রহমান এ মামলায় গত বছরের ১২ অক্টোবর মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান। পরে তিনি জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আবদুর রহমান জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদের তথ্য গোপন করে বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানো হয়েছে। এ অভিযোগে দুদক গত বছরের ২১ আগস্ট এ মামলা করে। চলতি বছরের ৭ মে আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।