থাই মন্দিরে হামলার আগের দিন বাংলাদেশে এসেছিলেন মূল পরিকল্পক!

থাইল্যান্ডের মন্দিরে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ঘটনার আগের দিন চীনা পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে এসেছিলেন। থাইল্যান্ডের পুলিশ এমনটাই দাবি করেছে বলে আজ বুধবার রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। 

তবে বাংলাদেশের পুলিশ বলেছে, তাদের এমন কিছু জানা নেই।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ইরাওয়ান মন্দিরে গত মাসের ১৭ তারিখে ওই হামলা হয়। এ হামলায় ১৪ জন বিদেশি পর্যটকসহ ২০ জন নিহত হয়।
এ ঘটনায় দুই বিদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। থাই পুলিশ বলেছে, গ্রেপ্তার হওয়া দুই বিদেশির একজন জিজ্ঞাসাবাদে হামলাকারীকে বিস্ফোরক-ভর্তি ব্যাগ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি হামলার মূল পরিকল্পনাকারীর নামও বলেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই বিদেশি পুলিশকে বলেছে, ‘ইজান’ নামের এক ব্যক্তি ওই হামলার ঘটনায় মূলে ছিলেন। এ নিয়ে ব্যাংককে একটি বৈঠকে তিনি (ইজান) ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের মধ্যে ‘দায়িত্ব’ বণ্টন করেন। তবে বোমা হামলার আগের দিন ‘ইজান’ বাংলাদেশে চলে যান।
থাইল্যান্ডের পুলিশের উপপ্রধান চাকথিপ চাইজিন্ডা রয়টার্সকে বলেন, ‘ইজান নামের ব্যক্তি এই নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তি। তবে “ইজান” তার আসল নাম কি না, তা আমি জানি না। আমি তার জাতীয়তাও জানি না।...শুধু এটা জানি, সবার আগে ইজানকে ধরতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, সন্দেহভাজন ওই মূল পরিকল্পনাকারী গত ১৬ আগস্ট বাংলাদেশে চলে যান। থাইল্যান্ডের পুলিশ এ বিষয়ে বাংলাদেশের পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। তবে চীনা পাসপোর্ট ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদনে সন্দেহ পোষন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক রয়টার্সকে বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি অবগত নন।
এ ব্যাপারে সন্দেহভাজন ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে থাই পুলিশ। কিন্তু শুধু দুজনকে আটক করতে পেরেছে থাই পুলিশ।
থাই জাতীয় পুলিশের প্রধান সোমায়ত পাম্পামুয়াং বলেন, এই হামলা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ছিল না।