চার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি হবে

সুনামগঞ্জে জিএসকে ও কেয়ারের সম্প্রসারিত সিএইচডব্লিউ ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন অতিথিরা l প্রথম আলো
সুনামগঞ্জে জিএসকে ও কেয়ারের সম্প্রসারিত সিএইচডব্লিউ ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন অতিথিরা l প্রথম আলো

সুনামগঞ্জে মায়ের নিরাপদ প্রসব ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করতে ৩০০ জন প্রশিক্ষিত ধাত্রী ও ৩ হাজার ৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি করতে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন (জিএসকে) ও আন্তর্জাতিক সংস্থা কেয়ার তাদের সম্প্রসারিত প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। গতকাল বুধবার সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এই সম্প্রসারিত প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

এতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জিএসকে, কেয়ার, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কেয়ার, জিএসকে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জে ২০১৩ সাল থেকে এই প্রকল্পের কাজ হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা সিভিল সার্জন আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাজেদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জিএসকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রামিল বারডেন, কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী লোরি লি, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেয়ার বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক (স্বাস্থ্য) জাহাঙ্গীর হোসাইন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৩ সাল থেকে সুনামগঞ্জের ১০টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। এতে ১৬৮জন প্রশিক্ষিত ধাত্রী ও ২ হাজার ১১২ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন। এই ধাত্রীরা ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রকল্পটি নতুনভাবে সম্প্রসারিত হওয়ায় এখন পুরো জেলাজুড়ে কাজ হবে। প্রশিক্ষিত ধাত্রী ও মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা জেলার ২৫ লাখ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করবেন।

অনুষ্ঠানে রামিল বারডেন বলেন, জিএসকে তার অর্জিত মুনাফার ২০ শতাংশ স্থানীয় স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে পুনর্বিনিয়োগ করে থাকে। প্রকল্পটি আজ থেকে সুনামগঞ্জ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হলো। জিএসকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা সম্ভব হবে সবার সম্মিলিত সহায়তা ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে।

লোরি লি বলেন, ‘সুনামগঞ্জের মতো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে আমরা তিন বছর ধরে জিএসকের সঙ্গে কাজ করছি। এই প্রকল্পের অংশীদারত্ব রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। আমরা এই কাজে সফলতার মাধ্যমে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।’

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন লোরি লি ও রামিল বারডেন।